নেটওয়ার্ক কি । নেটওয়ার্ক কাকে বলে । নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি

নেটওয়ার্ক হল দুটি বা তার বেশি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের একটি ব্যবস্থা। এটি তারযুক্ত (wired) বা তারবিহীন (wireless) হতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে নেটওয়ার্ক ছাড়া যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান কল্পনাও করা যায় না।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ডিভাইস, যেমন কম্পিউটার, মোবাইল, সার্ভার এবং রাউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এটি ব্যক্তিগত (LAN), স্থানীয় (MAN) এবং বিস্তৃত (WAN) হতে পারে। ইন্টারনেট বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম নেটওয়ার্ক, যা মানুষকে যেকোনো স্থান থেকে তথ্য গ্রহণ ও প্রেরণের সুযোগ দেয়।

ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনোদনে নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি অনলাইন যোগাযোগ, ক্লাউড স্টোরেজ, ই-কমার্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে সহজ ও গতিশীল করেছে। নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ভবিষ্যতে আরও দ্রুত ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে। আজকের এই টিউটোরিয়ালে নেটওয়ার্ক কি নেটওয়ার্ক কাকে বলে নেটওয়ার্ক কত প্রকার নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা এবং কি কি এবং নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে  এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচোনা করা হয়েছে। 

নেটওয়ার্ক কি, নেটওয়ার্ক কাকে বলে, নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি

নেটওয়ার্ক কাকে বলে

নেটওয়ার্ক হল একাধিক কম্পিউটার, ডিভাইস বা সিস্টেমের মধ্যে সংযোগ, যা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি তারযুক্ত (Wired) বা তারবিহীন (Wireless) হতে পারে। নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যেমন LAN (Local Area Network), WAN (Wide Area Network), এবং MAN (Metropolitan Area Network)। ইন্টারনেট হল বিশ্বের বৃহত্তম নেটওয়ার্ক, যা কোটি কোটি ডিভাইসকে সংযুক্ত করে তথ্য বিনিময় করে।

নেটওয়ার্ক এর কাজ কি

নেটওয়ার্কের মূল কাজ হলো একাধিক ডিভাইস বা কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য ও সংস্থান শেয়ার করা। এটি ইন্টারনেট সংযোগ, ডাটা ট্রান্সফার, রিসোর্স শেয়ারিং (যেমন: প্রিন্টার, ফাইল, সার্ভার), যোগাযোগ (ইমেইল, মেসেজিং) এবং নিরাপদ ডাটা সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করে। এছাড়া, এটি ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত কাজে দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একাধিক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান সহজ ও দ্রুততর করে। ইন্টারনেট ব্যবহার, রিসোর্স শেয়ারিং, যোগাযোগ এবং ডাটা নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্ক অপরিহার্য। ব্যক্তিগত, শিক্ষা, ব্যবসা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের ব্যবহার কার্যকারিতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা ডিজিটাল যুগের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নেটওয়ার্ক কত প্রকার ও কি কি

বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি একাধিক কম্পিউটার ও ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং তথ্য আদান-প্রদান সহজ করে। ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ফলে যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় আরও দ্রুত ও কার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্থানীয় ও বিশ্বব্যাপী সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং কি | ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সাধারণত কাভারেজ এরিয়া ও ব্যবহার অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। প্রধানত নেটওয়ার্ক তিন প্রকারের হয়ে থাকে:

১. LAN (Local Area Network)

LAN বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক একটি সীমিত এলাকার মধ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন অফিস, স্কুল, বা বাড়ি। এটি উচ্চ গতির সংযোগ প্রদান করে এবং সাধারণত একটি সংস্থার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।

২. MAN (Metropolitan Area Network)

MAN বা মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক একটি শহর বা বৃহত্তর এলাকার মধ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন অফিস, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। LAN-এর তুলনায় এর পরিধি বেশি কিন্তু WAN-এর তুলনায় কম।

৩. WAN (Wide Area Network)

WAN বা ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বিশ্বের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেটই হলো সবচেয়ে বড় WAN উদাহরণ। এটি বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশের কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে এবং ডাটা বিনিময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য নেটওয়ার্ক

উপরোক্ত প্রধান নেটওয়ার্ক ছাড়াও আরও কিছু বিশেষ ধরণের নেটওয়ার্ক রয়েছে:

  • PAN (Personal Area Network): ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়, যেমন ব্লুটুথ বা হটস্পট সংযোগ।
  • CAN (Campus Area Network): একটি নির্দিষ্ট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিল্ডিং বা অংশকে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
  • WLAN (Wireless Local Area Network): তারবিহীনভাবে (Wi-Fi) ডিভাইস সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • SAN (Storage Area Network): ডাটা সংরক্ষণ ও ব্যাকআপের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি তথ্য বিনিময়, যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। বিভিন্ন প্রকার নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হচ্ছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও কার্যকর করেছে।

ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক

ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) হলো একটি নিরাপদ নেটওয়ার্ক সংযোগ, যা পাবলিক নেটওয়ার্কের (যেমন ইন্টারনেট) মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষিতভাবে আদান-প্রদান করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে রাখে এবং ডাটা এনক্রিপ্ট করে, যাতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বা নজরদারি রোধ করা যায়। VPN সাধারণত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, সেন্সরশিপ এড়ানো এবং কর্পোরেট নেটওয়ার্কে দূরবর্তীভাবে সংযুক্ত থাকার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো একাধিক কম্পিউটার ও ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ, যা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি তারযুক্ত বা বেতার মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার, ডাটা শেয়ারিং এবং যোগাযোগ করা সম্ভব। এর প্রকারভেদ হলো LAN, WAN, MAN ইত্যাদি।

নেটওয়ার্ক টপোলজি কি

নেটওয়ার্ক টপোলজি হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের গঠন বা বিন্যাস, যেখানে বিভিন্ন ডিভাইস কীভাবে সংযুক্ত থাকে তা নির্ধারণ করা হয়। এটি তথ্য আদান-প্রদানের কার্যকারিতা ও দক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক টপোলজি রয়েছে, যেমন বাস, স্টার, রিং, মেশ ও হাইব্রিড টপোলজি। সঠিক টপোলজি নির্বাচন নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং (Network Marketing) বর্তমানে ব্যবসার জগতে একটি জনপ্রিয় এবং আলোচিত মডেল। এটি একটি প্রক্রিয়া যেখানে উদ্যোক্তারা পণ্য বা সেবা বিক্রি করার পাশাপাশি, নতুন বিক্রেতা বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ করেন। এর মাধ্যমে, বিক্রেতারা শুধুমাত্র নিজের বিক্রয় থেকে লাভ করেন না, বরং তাদের নিয়োগকৃত সদস্যদের বিক্রয় থেকেও কমিশন লাভ করেন। এই ধরণের ব্যবসায় মডেলটি সাধারণত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং (MLM) নামে পরিচিত।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ে, সবার জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়, কারণ এখানে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়, যা সদস্যদের জন্য আয়ের নতুন রাস্তা খুলে দেয়। তবে, এটি কিছু ক্ষেত্রে পিরামিড স্কিমের মতো হয়ে ওঠে, যা আইনি সমস্যার কারণ হতে পারে। এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে সঠিকভাবে জানাশোনা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডিজিটাল নেটওয়ার্ক কি

ডিজিটাল নেটওয়ার্ক হলো একটি সিস্টেম বা প্ল্যাটফর্ম যা ইন্টারনেট বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস বা ব্যবহারকারীদের একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য, ডেটা, এবং রিসোর্সগুলি দ্রুত এবং সহজে শেয়ার করা সম্ভব হয়। ডিজিটাল নেটওয়ার্কে সামাজিক মিডিয়া, ইমেইল, ক্লাউড সার্ভিস, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য ডিজিটাল টুলস অন্তর্ভুক্ত থাকে।

এটি একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং টুলের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যবসা, শিক্ষা, বিনোদন, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।

ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক কি

ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক হলো একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক মডেল যেখানে দুটি প্রধান উপাদান থাকে: ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার।

  • ক্লায়েন্ট: এটি এমন একটি ডিভাইস বা সফটওয়্যার যা সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে এবং সার্ভার থেকে তথ্য বা সেবা প্রাপ্তির জন্য অনুরোধ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ওয়েব ব্রাউজার বা ই-মেইল ক্লায়েন্ট।

  • সার্ভার: এটি একটি শক্তিশালী কম্পিউটার বা ডিভাইস যা ক্লায়েন্টদের অনুরোধ গ্রহণ করে এবং তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য বা সেবা সরবরাহ করে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েব সার্ভার বা ডাটাবেস সার্ভার।

এই নেটওয়ার্ক মডেলে, সার্ভার সাধারণত কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য বা পরিষেবা প্রদান করে, এবং ক্লায়েন্টরা সেই তথ্যের জন্য সার্ভারের কাছে অনুরোধ পাঠায়। এটি সাধারণত নিরাপত্তা, স্কেলেবিলিটি এবং কেন্দ্রীভূত তথ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়।

নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে

নেটওয়ার্ক কাজ করে বিভিন্ন ডিভাইস বা কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে তথ্য বা ডেটা শেয়ার করার মাধ্যমে। এটি কয়েকটি ধাপে কাজ করে:

  1. সংযোগ স্থাপন: প্রথমে, নেটওয়ার্কের ডিভাইসগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়। এটি সাধারণত কেবল, রাউটার, সুইচ, অথবা ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটে।

  2. ডেটা ট্রান্সমিশন: এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রোটোকল ব্যবহার করা হয় (যেমন TCP/IP)। এটি একটি নির্দিষ্ট ভাষায় তথ্য বিনিময় করে।

  3. ডিভাইসের পরিচয়: প্রতিটি ডিভাইস একটি আইপি ঠিকানা বা ম্যাক ঠিকানা দ্বারা চিহ্নিত হয়, যার মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা হয়।

  4. ডেটা প্রক্রিয়াকরণ: ডেটা প্রাপ্তির পর, সার্ভার বা ক্লায়েন্ট সেই ডেটা প্রক্রিয়া করে, যেমন ওয়েব পেজ রেন্ডার করা, ইমেইল পাঠানো বা ডাটাবেস থেকে তথ্য নেওয়া।

  5. প্রতিক্রিয়া: ক্লায়েন্ট বা সার্ভার সঠিক তথ্য পাওয়ার পর, এটি ব্যবহারকারীর কাছে ফলাফল পাঠায়।

এই প্রক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কে ডিভাইসগুলির মধ্যে দ্রুত, সুরক্ষিত, এবং কার্যকরী তথ্য বিনিময় নিশ্চিত করে।

নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সাধারন প্রশ্ন উত্তর

  1. নেটওয়ার্ক কি?
    নেটওয়ার্ক হলো একটি সিস্টেম যা একাধিক কম্পিউটার বা ডিভাইসের মধ্যে তথ্য শেয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

  2. নেটওয়ার্কের ধরন কত প্রকার?
    নেটওয়ার্ক প্রধানত দুটি ধরণের হয়: লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN) এবং উইডএ리아 নেটওয়ার্ক (WAN)।

  3. LAN কি?
    LAN (Local Area Network) একটি সীমিত এলাকার মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন করে, যেমন একটি অফিস বা একটি বাড়ির মধ্যে।

  4. WAN কি?
    WAN (Wide Area Network) একটি বিস্তৃত এলাকা যেমন শহর, দেশ বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক সংযোগ করে।

  5. ওয়াইফাই কি?
    Wi-Fi একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যা কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।

  6. টিপি/আইপি কি?
    TCP/IP (Transmission Control Protocol/Internet Protocol) ইন্টারনেটের যোগাযোগ প্রোটোকল যা ডেটা ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহৃত হয়।

  7. আইপি ঠিকানা কি?
    আইপি ঠিকানা হলো একটি অনন্য সংখ্যা যা নেটওয়ার্কে প্রতিটি ডিভাইস বা কম্পিউটারের জন্য নির্ধারিত হয়।

  8. DNS কি?
    DNS (Domain Name System) একটি প্রোটোকল যা ডোমেন নামকে আইপি ঠিকানায় রূপান্তর করে।

  9. নেটওয়ার্কের মডেল কি?
    নেটওয়ার্ক মডেল হলো একটি নকশা বা কাঠামো যা নেটওয়ার্কের বিভিন্ন স্তর এবং উপাদান ব্যাখ্যা করে।

  10. হাব কি?
    হাব একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একাধিক ডিভাইসকে সংযুক্ত করে, তবে এটি ডেটা ট্রাফিককে সঠিকভাবে পরিচালনা করে না।

  11. সুইচ কি?
    সুইচ একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একাধিক ডিভাইসকে সংযুক্ত করে এবং ডেটা ট্রান্সফারের জন্য পথ নির্ধারণ করে।

  12. রাউটার কি?
    রাউটার একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে ডেটা রুটিং করে।

  13. ফায়ারওয়াল কি?
    ফায়ারওয়াল হলো একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যা নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ বা ক্ষতিকারক কার্যকলাপ রোধ করে।

  14. VPN কি?
    VPN (Virtual Private Network) একটি নিরাপদ এবং গোপনীয় সংযোগ তৈরি করে যা পাবলিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রাইভেট নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস প্রদান করে।

  15. ওয়াইফাই রেঞ্জ এক্সটেন্ডার কি?
    এটি একটি ডিভাইস যা ওয়াইফাই সিগন্যালের পরিসর বৃদ্ধি করে।

  16. পিং কি?
    পিং একটি নেটওয়ার্কিং টুল যা দুটি ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।

  17. ব্যান্ডউইথ কি?
    ব্যান্ডউইথ হলো একটি নেটওয়ার্কের সর্বাধিক ডেটা স্থানান্তরের ক্ষমতা।

  18. ল্যাটেন্সি কি?
    ল্যাটেন্সি হলো একটি নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানোর এবং গ্রহণ করার মধ্যে সময়ের পার্থক্য।

  19. প্রোটোকল কি?
    প্রোটোকল হলো একটি নিয়মাবলী যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফার করার সময় অনুসরণ করা হয়।

  20. স্ট্যাটিক আইপি ঠিকানা কি?
    স্ট্যাটিক আইপি ঠিকানা হলো একটি স্থির আইপি ঠিকানা যা পরিবর্তিত হয় না।

  21. ডাইনামিক আইপি ঠিকানা কি?
    ডাইনামিক আইপি ঠিকানা হলো একটি পরিবর্তনশীল আইপি ঠিকানা যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরিবর্তিত হয়।

  22. ব্যাকবোন কি?
    ব্যাকবোন হলো একটি মূল নেটওয়ার্ক যা অন্যান্য নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে।

  23. নেটওয়ার্ক টপোলজি কি?
    নেটওয়ার্ক টপোলজি হলো একটি নেটওয়ার্কের গঠন বা কাঠামো।

  24. স্টার টপোলজি কি?
    স্টার টপোলজি হলো একটি নেটওয়ার্ক টপোলজি যেখানে সব ডিভাইস একটি কেন্দ্রীয় পয়েন্টের সাথে সংযুক্ত থাকে।

  25. ব্যুস টপোলজি কি?
    ব্যুস টপোলজি হলো একটি নেটওয়ার্ক টপোলজি যেখানে সমস্ত ডিভাইস একটি একক কেবলের সাথে সংযুক্ত থাকে।

  26. রিং টপোলজি কি?
    রিং টপোলজি হলো একটি নেটওয়ার্ক টপোলজি যেখানে প্রতিটি ডিভাইস একটি বন্ধวงে সংযুক্ত থাকে।

  27. মেশ টপোলজি কি?
    মেশ টপোলজি হলো একটি নেটওয়ার্ক টপোলজি যেখানে প্রতিটি ডিভাইস একে অপরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।

  28. ব্যান্ডউইথ কনজেশন কি?
    ব্যান্ডউইথ কনজেশন হলো একটি অবস্থার যেখানে নেটওয়ার্কে অত্যাধিক ট্রাফিক প্রবাহের কারণে স্লো ডেটা ট্রান্সফার হয়।

  29. ডিএচসিপি কি?
    DHCP (Dynamic Host Configuration Protocol) একটি প্রোটোকল যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইসগুলিকে আইপি ঠিকানা প্রদান করে।

  30. নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস ট্রান্সলেশন (NAT) কি?
    NAT হলো একটি প্রযুক্তি যা একাধিক ডিভাইসকে একটি একক পাবলিক আইপি ঠিকানা দিয়ে ইন্টারনেটে সংযোগ করতে দেয়।

  31. ব্রিজ কি?
    ব্রিজ একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা দুটি আলাদা নেটওয়ার্ক সেগমেন্টকে সংযুক্ত করে।

  32. মোডেম কি?
    মোডেম একটি ডিভাইস যা ডিজিটাল ডেটা এবং অ্যানালগ সিগন্যালের মধ্যে রূপান্তর করে।

  33. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কি?
    সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং হলো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ, তথ্য শেয়ার এবং সম্পর্ক তৈরি করে।

  34. ফল্ট টলারেন্স কি?
    ফল্ট টলারেন্স হলো একটি নেটওয়ার্কের ক্ষমতা, যাতে একটি সমস্যা বা ব্যর্থতা ঘটলেও, নেটওয়ার্কটি চালু থাকতে পারে।

  35. ট্রান্সমিশন মিডিয়া কি?
    ট্রান্সমিশন মিডিয়া হলো সেই মাধ্যম যার মাধ্যমে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানো হয়।

  36. ওভারলোড কি?
    নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত ট্রাফিক বা ব্যান্ডউইথ ব্যবহারকে ওভারলোড বলা হয়।

  37. নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার কি?
    নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার হলো নেটওয়ার্কের গঠন এবং কার্যপদ্ধতির পরিকল্পনা।

  38. সার্ভিস প্রোভাইডার কি?
    সার্ভিস প্রোভাইডার হলো প্রতিষ্ঠান যা ইন্টারনেট, ডেটা বা নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান করে।

  39. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
    সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে তাদের থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহের কৌশল।

  40. সিকিউরিটি প্রোটোকল কি?
    সিকিউরিটি প্রোটোকল হলো একটি সেট নিয়ম যা নেটওয়ার্কে ডেটার সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

  41. থ্রোটলিং কি?
    থ্রোটলিং হলো একটি নেটওয়ার্কের গতি সীমাবদ্ধ করা, যাতে একে অপরের সাথে সঠিকভাবে ডেটা ভাগ করা যায়।

  42. ট্রেসরাউট কি?
    ট্রেসরাউট হলো একটি কমান্ড যা একটি নেটওয়ার্কে ডেটা কোথায় এবং কিভাবে চলাচল করছে তা পরীক্ষা করে।

  43. টেলনেট কি?
    টেলনেট হলো একটি প্রোটোকল যা দূরবর্তী কম্পিউটারগুলির সাথে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।

  44. এসএসএল কি?
    SSL (Secure Sockets Layer) একটি সিকিউরিটি প্রোটোকল যা ইন্টারনেট সংযোগে ডেটা এনক্রিপশন এবং নিরাপত্তা প্রদান করে।

  45. এমএলএম কি?
    MLM (Multi-Level Marketing) একটি ব্যবসায়িক মডেল যা ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে নতুন সদস্য নিয়োগ করে।

  46. আইপি সেগমেন্টেশন কি?
    আইপি সেগমেন্টেশন হলো একটি প্রক্রিয়া যা ডেটা প্যাকেটকে ছোট ছোট সেগমেন্টে ভাগ করে পাঠায়।

  47. শেয়ারড নেটওয়ার্ক কি?
    শেয়ারড নেটওয়ার্ক হলো একটি নেটওয়ার্ক যা একাধিক ডিভাইস বা ব্যবহারকারীর মধ্যে শেয়ার করা হয়।

  48. রিপিটার কি?
    রিপিটার হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা দুরবর্তী ডিভাইসের মধ্যে সংকেত পুনঃপ্রেরণ করে।

  49. স্কেলেবিলিটি কি?
    স্কেলেবিলিটি হলো নেটওয়ার্কের ক্ষমতা তার আকার বা ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করতে।

  50. ডেটা সিকিউরিটি কি?
    ডেটা সিকিউরিটি হলো নেটওয়ার্কে তথ্যের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url